জনশক্তিদের মধ্যে সংগঠন ও ব্যক্তি নিয়ে নানা পজেটিভ -নেগেটিভ আলোচনা থাকা স্বাভাবিক। যেমন অমুক দায়িত্বশীল/নেতা আমার এই কারণে পছন্দের আবার অমুক দায়িত্বশীল ঐ কারণে আমার কাছে অপছন্দের! একই ব্যক্তি একজনের কাছে পছন্দের আরেকজনের কাছে অপছন্দের! যিনি যেভাবে নেতাকে/ব্যক্তিকে পান সেভাবেই তিনি পজেটিভ বা নেগেটিভ আলোচনা করেন।
জামায়াতবদ্ধ ব্যক্তি বা সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা বা শোধরানোর সাংগঠনিক নীতি পদ্ধতি রয়েছে। এটি জামায়াতের রুকন বা শপথের কর্মীদের মধ্যে অনুস্বরণ করা বাধ্যতামূলক। এটি যদি না থাকে সংগঠনে ব্যক্তি সংশোধন ও সংগঠনের সামগ্রিক কার্যক্রমের পদক্ষেপের সংশোধন সম্বভ নয় বলে জামায়াত মনে করে। এর সাথে আমিও একমত। তবে ব্যক্তির সংশোধন তার ক্রটিকে স্বীকার করার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর সংশোধন করা সম্ভব হলে সংগঠনের সামগ্রিক কার্যক্রমের গুনাগুন বহুমাত্রায় বেড়ে যাবে বলে আমার ধারণা।
একটি সংগঠনের শপথের বাইরে অনেক সাধারণ কর্মী সহযোগী বা সুধী-শুভাকাংখী থাকে। যারা সংগঠনকে ভালোবেসেই সংগঠনের পজেটিভ নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এই মানের লোকদের মধ্যে কেউ নিরবে কাজ করেন, বুদ্ধি পরমর্শ বা অর্থ দিয়ে পাশে থাকেন, কেউ সমালোচনা করতে পছন্দ করেন কেউবা সংগঠনের সমালোচনাই সহ্য করতে পারেননা। মানে একেক জন একেক রকমের! তবে কিছু ব্যক্তির নেশা ও পেশাই হলো সংগঠন ও ব্যক্তির পিছনে লেগে থাকা। এধরনের লোকেরা কখনো নিজের দোষত্রুটির দিকে তাকানো প্রয়োজন বলে মনে করেনা। সেসব ব্যক্তি বিনা কারণে আরেক ভাইয়ের সমালোচনা/গীবতের কাজ করা গুনাহের কাজ তাও বেমালুম ভূলে যান। ভালো মন্দ বিচার করেননা। এরা একধরণের ইতর শ্রেণীর লোক। সংগঠনের ভিতরে বাইরে পরিবেশ নষ্ট করাই তাদের কাজ।
আমি মনে করি তথ্য প্রযুক্তির এই সময়ে যিনি বা যার ব্যাপারেই বা যে কাজের ব্যাপারেই কন্সট্রাকটিভ সমালোচনা যেখানেই হোক না কেন তা গ্রহন করলে ব্যক্তি ও সংগঠনের জন্য উপকার হয়। তবে কেউ অহেতুক সংগঠন ও ব্যক্তির সমালোচনা বা নিন্দা করলে এর পিছনে সংগঠন বা ব্যক্তি ভ্রুক্ষেপ না করে নিজেদের কাজে মনোযোগ দেয়াই যুক্তি যুক্ত।
আমাদের সামগ্রিক তৎপরতা যে আমাদের আমল নষ্টের কারণ না হয়। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের নেক কাজ গুলো কবুল করুন।