কোন ব্যক্তি, কোন সংগঠনের বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ অথবা বক্তব্য থাকলে তা শালীণ ভাষায়ও উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু অত্যন্ত কুরুচিকর শব্দ বাক্য ব্যবহার করে কাউকে কখনো শোধরানো যায়না , এটি কাউকে পরিশুদ্ধ করার পলিসিও হতে পারেনা। তখন এটিকে নেহায়াৎ আরেকজনের বা আরেক দলের বিরুদ্ধে উঠে- পড়ে লাগা বৈ কী বলা চলে। এতে এটি যিনি বা যারা করেন তাদের ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, অবস্থান ও রুচি বোধের দুরুবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

এর চেয়েও বড় বিষয় হলো আমি আমার মত করে একজনের বিরুদ্ধে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন তথ্য উপাত্ত ছাড়া কিছু বক্তব্য বা অভিযোগ উপস্থাপন করলাম, সেটি যদি আরেক জনকে ঘায়েল করার বা সমালোচনা করার জন্য যথেষ্ট মনে করা হয় তাহলে আদালতেও কেউ কাউকে দোষী প্রমাণের জন্য যথেষ্ট যুক্তি, তথ্য ও উপাত্থের কোন প্রয়োজন হতোনা। তবে আওয়ামী ক্যাঙ্গারো কোর্টের মতো হলে সেটি ভিন্ন কথা!!

অপরদিকে কেউ আপনার বিরুদ্ধে বা আপনার দলের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য অভিযোগ উপস্থাপন করলো আর তা যাচাই-বাছাই বা দলিল প্রমাণ আমি ছাড়া নিজেই হীনমন্যতায় ভুগলেন অথবা নিজের দলকে দায়ী হিসেবে উপস্থাপন করলেন এটি এক ধরনের হিপোক্রেসি ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা।

যে কোন ঘটনা বা আলোচিত বিষয়ের ক্ষেত্রে দলের নিজস্ব কোন অবস্থান বা বক্তব্য থাকতে পারে এবং

দল বা ব্যক্তির কোন ধরনের ভুল বা দোষ ত্রুটি থাকলে তা স্বীকার করা উচিত।

যারা কাজ করে, অনেক কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত, ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক ভুল হয়ে যেতে পারে। যারা কাজ করে না তাদের ভুল হয় না। যারা কাজ করে তাদের ভুল হয়। তাই পাছে লোকে কি বলে! তার দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের কাজে বিবেক বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরামর্শ ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত ও কল্যাণকর। যারাই ত্যাগী, পরিশ্রমী, নিঃস্বার্থভাবে দলের জন্য ও দেশের জনগণের জন্য কাজ করবে টুডে অর টুমোরো দেশের জনগণ তাদের সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।